রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৪২ পূর্বাহ্ন
৪ সন্তানের মাকে গণধর্ষণ ,
অনলাইন ডেস্ক:নোয়াখালীর সুবর্ণচরে গতকাল সোমবার (৩১ ডিসেম্বর) চার সন্তানের মাকে আওয়ামী লীগের কয়েকজন কর্মী মিলে গণধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ৪২ বছরের চিকিৎসাধীন ওই নারীর অভিযোগ, নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দেওয়ায় তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। চর জুবিলী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য রুহুল আমীনের নেতৃত্বে এই পাশবিক কাজ করা হয়েছে।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে রুহুল আমীন জানান, ‘ওই নারী তার আত্মীয় এবং তাদের মধ্যে কোনো শত্রুতা নেই। ভোটকেন্দ্রে আমি কেবল একবার তার (নারী) সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম।’জানা গেছে, রুহুল আমীন সুবর্ণচর আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক।
ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে ভুক্তভোগী নারী জানান, গতকাল মধ্যরাতের পর ১০-১২ জন লোক হাতে লাঠিসোটা নিয়ে বেড়া কেটে তার বাড়িতে প্রবেশ করেন। তারপর তারা তার সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক স্বামী ও চার সন্তানকে দড়ি দিয়ে বেঁধে ফেলেন। এরপর তারা তাকে বাইরে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন।
আহত নারীর স্বামী জানান, আনুমানিক রাত চারটার দিকে তার স্ত্রীকে মারাত্মক আহত করে অচেতন অবস্থায় ফেলে রাখে এবং ৪০ হাজার টাকা, সোনার গয়না ও অন্যান্য দামি জিনিসপত্র নিয়ে ধর্ষণকারীরা পালিয়ে যায়। এরপর, ওই নারীর স্বামী ও সন্তানের কান্নাকাটি শুনে প্রতিবেশীরা এসে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শ্যামল কুমার বিশ্বাস জানান, তারা ধর্ষণের আলামত পেয়েছেন। ভুক্তভোগীর শরীরে একাধিক স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
ওই নারীর স্বামী জানান, তার স্ত্রী গত রোববার সকাল ১১টায় চর জুবিলী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিতে যান। সেখানে তিনি সহকারী প্রিসাইডিং অফিসারের কাছ থেকে ব্যালট পেপার নিয়ে বুথে যেতে চান। ওই সময় আওয়ামী লীগের কর্মী রুহুল আমীন তাকে নৌকায় ভোট দেওয়ার জন্য জোর করেন।
কিন্তু তাকে (রুহুল আমীন) যখন বলা হয় যে ধানের শীষে ভোট দেওয়া হয়েছে, তখন তিনি ব্যালট পেপারটি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু এরমধ্যেই তার স্ত্রী ব্যালটটি বাক্সে ঢুকিয়ে দেন। এতেই রুহুল ক্ষেপে যান এবং দেখে নেওয়ার হুমকি দেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে চর জব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিজাম উদ্দিন বলেন, ভুক্তভোগী নারীকে ধর্ষণ করা হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়ার জন্যে ফরেনসিক রিপোর্টের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবার থেকে থানায় একটি মামলা করা হয়েছে (মামলা নম্বর ১২)। মামলার পর বাদশা আলম ওরফে কুড়াইল্লা বাসু নামে এক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।
Leave a Reply